হাওজা নিউজ এজেন্সি: ইমাম মুহাম্মাদ বাকের (আ.)-এর উপাধি “বাকের” অর্থ ”বিদীর্ণকারী”। তাঁকে “বাকেরুল উলুম” বা “জ্ঞানের বিদীর্ণকারী” বলা হত। “বাকেরুল উলুম” দ্বারা একজন ব্যক্তি বা সত্তাকে বোঝায় যে জ্ঞানের সকল স্তর ভেদ করে গভীরে প্রবেশ করে, তা বিশ্লেষণ করে বা নতুন দৃষ্টিভঙ্গি ও ধারা উন্মোচন করেন।
একদিন এক খ্রিস্টান ব্যক্তি ইমামকে বিদ্রূপ করে ‘বাকের’ শব্দটি বিকৃত করে ‘বাকারা’ (গরু) বলে সম্বোধন করলেন।
ইমাম বাকের (আ.) রাগ না করে ধৈর্য্য ও নমনীয়তার সাথে বললেন, “না, আমি বাকারা নই, আমি বাকের।”
খ্রিস্টান ব্যক্তি আবার বলল, তুমি সেই নারীর সন্তান যে রাঁধুনি (বাবুর্চি) ছিল।
ইমাম (আ.) উত্তর দিলেন, “এটি তার পেশা ছিল, এতে কোনো লজ্জার বিষয় নেই।”
খ্রিস্টান আবারও বলল, তোমার মা কালো, নির্লজ্জ ও কটুভাষী ছিল।
ইমাম (আ.) বললেন, “যদি এটা সত্য হয়, আল্লাহ তাকে ক্ষমা করুন। আর যদি মিথ্যা হয়, আল্লাহ তোমাকে ক্ষমা করুন।”
ইমামের এই অপরিসীম সহিষ্ণুতা দেখে খ্রিস্টান ব্যক্তি গভীরভাবে প্রভাবিত হন। পরবর্তীতে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন।
সূত্র: দাস্তানে রাস্তান, খণ্ড- ১, পৃষ্ঠা- ৪৮
আপনার কমেন্ট